Header Ads Widget

Ticker

6/recent/ticker-posts

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে থেকে আইপিএল মিশন শেষ করলো মুস্তাফিজ

আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমান

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে ২২.৭১ গড়,  ৯.৪৬ ইকোনোমিতে ১৪ উইকেট নিয়ে এবারের আইপিএল শেষ করেছে মুস্তাফিজুর রহমান। বিসিবির সম্মতি না থাকায় খেলতে পারবে না বাকি ম্যাচগুলো! তার সমান ১৪ উইকেট শিকার করেছেন জসপ্রিত বুমরা এবং হার্শাল প্যাটেল।

গতকাল আইপিএলের ৪৯তম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের সাথে ৭ উইকেটে হেরে গেছে মুস্তাফিজের দল চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ম্যাচটি স্মরণীয় করতে পারলেন না মুস্তাফিজুর রহমান। দলের পরাজয়ের দিনে নিজেও ছিলেন উইকেট শূন্য! তবে উইকেট না পেলেও রান দেবার ক্ষেত্রে ছিলেন খুবই কিপটে। পুরো চার ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন মাত্র ২২। তবে ১৬২ রানের মাঝারি সংগ্রহে জয় তুলে নিতে পারেনি তার দল।

মুস্তাফিজের অভাব খুব ভালোভাবেই বোধ করবে চেন্নাই। এবারের স্কোয়াডে মুস্তাফিজ ছিল চেন্নাইয়ের অপরিহার্য এক খেলোয়াড়। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পার্পল ক্যাপ দখলে ছিল বেশ কিছুদিন। দেশে ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য একটি ম্যাচ খেলতে পারেন নি। এছাড়া প্রতিটি ম্যাচে চেন্নাইয়ের  বোলিং ভরসা হিসেবে মাঠে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে হয়ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির দৌড়েও থাকতে পারতেন। ভিত্তিমূল্য মাত্র ২ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে নিয়েছিল চেন্নাই। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে চেন্নাই। প্লে অফের দৌড়ে শেষ ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজকে দলে না পেয়ে হতাশ চেন্নাই দল ও ভক্ত-সমর্থকরা।

বিসিবির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত মুস্তাফিজকে অনাপত্তি পত্র দেয়া হয়েছিল; পরবর্তীতে এক দিন বাড়িয়ে ১লা মে পর্যন্ত করা হয়। আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে পুরো আইপিএলে খেলার সুযোগ দেয়নি বিসিবি। বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয় " মুস্তাফিজ বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়; বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে তার ব্যাপারে আমরা কোন রিস্ক নিতে চাই না। আইপিএল খেলে ইনজুরড হয়ে গেলে দলের ক্ষতি।"

এই বছর মুস্তাফিজের ৭ম আইপিএল। ২০১৬ থেকে নিয়মিত দল পাচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালে প্রথম আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন কাটার মাস্টার। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পাশাপাশি জিতেছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। মোট সাত আসরে ৫৭ ম্যাচে  ২৮.৮৯ গড় ও ৮.১৪ ইকোনোমিতে ৬১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের নাম সাকিব আল হাসান। ৭১ ম্যাচে ৬৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ