কুমিল্লার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল দুই দিন আগেই। ২৬শে ফেব্রুয়ারি প্রথম কোয়ালিফার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে চলে যায় কুমিল্লা। হারলেও সাকিবের রংপুরের সুযোগ ছিল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তামিমের বরিশালকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়ার। কিন্তু মাঠের খেলায় ভাল পারফরমেন্স করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ফরচুন বরিশাল।
২৮শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৯ রান করতে সক্ষম হয় রংপুর। ৭৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়া রংপুরের স্কোর আরও ছোট হতে পারতো! সাতে ব্যাট করতে নামা শামীম হোসেনের ২৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসের সুবাদে লড়াই করার মত একটা পুঁজি পায় রংপুর। শামীমের দ্রুততম ফিফটির দিনে জেমস নিশাম যোগ করেন ২৮ রান। এছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই তেমন সুবিধা করতে পারেনি। বরিশালের পক্ষে জেমস ফুলার ২৫ রানে ৩ উইকেট এবং সাইফুদ্দিন ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে সফল বোলার।
১৫০ রানের লক্ষ্য টপকাতে বরিশালকে তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। চতুর্থ ওভারে আবু হায়দার রনির জোড়া আঘাতে খেলায় কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেলেও মুসফিক, সৌম্য, মায়ার্সরা আর কোন বিপর্যয় হতে দেয়নি। মুসফিকের ৩৭ বলে ৪৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় খুব সহজেই। এছাড়া দলের জয়ে সৌম্য সরকার ২২ রান, কাইল মায়ারস ২৮ ও ডেভিড মিলার ২২ রান যোগ করেন।
এই জয়ের ফলে বরিশাল চতুর্থবারের মত বিপিএল ফাইনালে জায়গা করে নিল। এর আগে বরিশাল ২০১২, ২০১৫ ও ২০২২ সালে ফাইনাল খেললেও শিরোপার স্বাদ পায়নি কখনো। অপর দিকে কুমিল্লার সামনে সুযোগ হ্যাট্রিক শিরোপা জেতার। গত দুই আসর ছাড়াও কুমিল্লা শিরোপা জিতেছে ২০১৯ ও ২০১৫ সালে।
বুড়োদের দল খ্যাত তামিম, মুসফিক, মাহমুদুল্লাহর সাথে ফর্মে থাকা লিটন, তৌহিদদের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা কে হাসে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১লা মার্চ রাত ১০টা পর্যন্ত।
0 মন্তব্যসমূহ