বছরের শেষ
দিনে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল বাংলাদেশ জাতীয়
ক্রিকেট দলের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে ১৭ রানের পরাজয়ে শেষটা আর
রঙিন হলো না টাইগারদের! কিন্তু তার আগে এই সফরেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের
মত ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
২০২৩ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে
বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্স ছিল হতাশাজনক! যেই ফরম্যাটকে বাংলাদেশের সামর্থ্যের
জায়গা হিসেবে ধরা হয়, যেই ফরম্যাটে বিগত কয়েক বছর ধরে দল ধারাবাহিকভাবে সফল; সেই
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। মার্চে ইংল্যান্ডের সাথে
ঘরের মাঠে ২-১ এ সিরিজ হারার পর আফগানিস্তান সাথেও ২-১ এ সিরিজ হেরেছে তারা। এরপর
অবশ্য আয়ারল্যান্ডের সাথে হোম এন্ড অ্যাওয়ে উভয় সিরিজে ২-০ তে জিতেছে দল।
বিশ্বকাপের পর বছরের শেষ দিকে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সাথেও ২-১ ব্যবধানে
সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ
২০২৩
২০১২, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের ফাইনালিস্ট
বাংলাদেশ দলের কাছে এশিয়া কাপে সবসময় একটা বাড়তি প্রত্যাশা থাকে।২০২৩ সালের এশিয়া
কাপের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই প্রত্যাশা হতাশায় পরিণত হয়। পাকিস্তান ও শ্রীলংকায়
অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে ৫টি ম্যাচ খেলে ২টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।গ্রুপ
স্টেজে আফগানিস্তানের সাথে ৮৯ রানের জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হলেও শ্রীলংকার সাথে ৫
উইকেটে গ্রুপ ম্যাচ হারে টাইগাররা। সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে এবং
শ্রীলংকার কাছে ২১ রানে পরাজিত হয়ে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। শেষ ম্যাচে
ভারতকে ৬ রানে পরাজিত করে সমর্থকদের কিছুটা সান্ত্বনা দেয় বাংলাদেশ।
হতাশার
বিশ্বকাপ ২০২৩
গত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডেতে চমৎকার
খেলতে থাকা এবং বিশ্বকাপ সুপার লীগে পয়েন্ট টেবিলে তিন নাম্বার অবস্থানে থাকা
বাংলাদেশ দলের কাছে বিশ্বকাপে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। দর্শক-সমর্থকরা
সেমি-ফাইনাল, ফাইনালের স্বপ্নও দেখা শুরু করেছিলো! প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাসেও ছিল
ভাল কিছু করার প্রত্যয়। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে তামিম- সাকিবের ব্যক্তিগত
দ্বন্দ্ব, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তামিমের জায়গা না পাওয়া, মিডিয়ার অন্তর্ভুক্তি
সর্বোপরি বোর্ডের মৌনতা সব কিছু মিলিয়ে একটি থমথমে পরিবেশে বিশ্বকাপ মিশনে যায়
বাংলাদেশ। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে
আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিলো টাইগাররা। কিন্তু
পরবর্তী টানা ৬ ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন থেকে ছিটকে যায়। এমনকি
নেদারল্যান্ডের সাথেও লজ্জার পরাজয় মেনে নিতে হয়। এরই মধ্যে আইসিসি থেকে ঘোষণা আসে
স্বাগতিক পাকিস্তানসহ বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে থাকা প্রথম আটটি দল নিয়েই অনুষ্ঠিত
হবে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বাংলাদেশ শ্রীলংকার সাথে জিতে মোট ৪
পয়েন্ট নিয়ে ৮ম অবস্থানে থেকে কোনোরকমে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন
করে।
২০২৩ সালের
ওয়ানডে ক্রিকেট সূচিতে বাংলাদেশ দল মোট ৩২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১১টি ম্যাচে জয়
পেয়েছে। ৩টি ম্যাচে কোন রেজাল্ট হয় নি।
২০২৩ সাল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য
ছিল ভাল একটি বছর। যে ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সবচেয়ে দুর্বল ভাবা হয় সেই ফরম্যাটে
২০২৩ সালে মোট ১৪ টি ম্যাচ খেলে ১০টিতে জয়লাভ ও ৩টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ
পরিত্যক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন
ইংল্যান্ডকে ৩-০তে পরাজিত করা। এছাড়া সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ ড্র হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে এশিয়ান গেমসের তিনটি
ম্যাচকেও আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যেখানে পাকিস্তানকে হারিয়ে
ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বাংলাদেশ।
এবছর বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে
মাত্র ৪টি। সবগুলো ম্যাচই হয়েছে বাংলাদেশে; বিদেশের মাটিতে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত
হয়নি। ৩ ম্যাচে জয় ও ১ ম্যাচে পরাজয় নিয়ে টেস্টের জন্য বছরটি মোটামুটি ভালোই
কেটেছে বলা যায়। জুন মাসে আফগনিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারানোটা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য
সবচেয়ে বড় জয় এবং টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে রানের হিসেবে তৃতীয় বৃহত্তম জয়।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারিয়ে ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে
প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ দল। এর আগে এপ্রিলে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের সাথে একমাত্র
টেস্টে ৭ উইকেটে জয়ী হয় টাইগাররা।
প্রমীলা
ক্রিকেটের উন্নতি
নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে ২০২৩
সালটা তুলনামূলক ভালোই কেটেছে নারী দলের; বলার মত সাফল্যও অনেক। এ বছর মেয়েরা ১৪টি
টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৬টি ম্যাচে। অপরদিকে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩
টি ম্যাচে জয়, ১ ম্যাচে টাই এবং ১টি ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পেয়েছে টাইগ্রেসরা।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে পরাজিত করার পাশাপাশি
ভারতের সাথে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয় ও ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে তারা। এছাড়া
সাউথ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয়, শ্রীলংকায় প্রথম
টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয় এবং এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক জয় এ বছর মেয়েদের ক্রিকেটের
উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এ বছরই ফারজানা হক বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে প্রথম ওয়ানডে
সেঞ্চুরিসহ মোট ২টি সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন।
পাকিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করায় নাহিদা আক্তারকে নভেম্বর মাসের আইসিসির
সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও
পড়ুনঃ
বাংলাদেশের প্রমীলা ক্রিকেট;
সাফল্য-ব্যার্থতার গল্প!
যুবাদের এশিয়া কাপ
জয়
২০২৩ সালে সব ধরনের ক্রিকেটের মধ্যে
সবচেয়ে আনন্দের সংবাদটি দিয়েছে অনুর্ধ-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত
অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপের দশম আসরে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে
পরাজিত করে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে যুবারা। সেমি ফাইনালে
হারিয়েছে ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারতকে। ২০২০ সালে আকবর আলীরা বিশ্বকাপ
জেতার স্বাদ দিলেও এশিয়া কাপ জেতা হয়নি কখনো। ২০১৯ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে
ভারতের কাছে ৫ রানে পরাজিত হওয়ার যে অপূর্ণতা ছিল ২০২৩ এ মাহফুজুর রহমান রাব্বির
নেতৃত্বে সেটা এবার পূর্নতা পেলো। এশিয়া কাপে অসাধারণ পারফর্মেন্স করা শিবলী,
আরিফুল, মারুফরা এ বছর জানুয়ারীর ১৯ তারিখ থেকে সাউথ আফ্রিকায় শুরু হতে যাওয়া যুব
বিশ্বকাপে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
২০২৩ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্স ছিল হতাশাজনক! যেই ফরম্যাটকে বাংলাদেশের সামর্থ্যের জায়গা হিসেবে ধরা হয়, যেই ফরম্যাটে বিগত কয়েক বছর ধরে দল ধারাবাহিকভাবে সফল; সেই ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। মার্চে ইংল্যান্ডের সাথে ঘরের মাঠে ২-১ এ সিরিজ হারার পর আফগানিস্তান সাথেও ২-১ এ সিরিজ হেরেছে তারা। এরপর অবশ্য আয়ারল্যান্ডের সাথে হোম এন্ড অ্যাওয়ে উভয় সিরিজে ২-০ তে জিতেছে দল। বিশ্বকাপের পর বছরের শেষ দিকে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সাথেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ ২০২৩
২০১২, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ দলের কাছে এশিয়া কাপে সবসময় একটা বাড়তি প্রত্যাশা থাকে।২০২৩ সালের এশিয়া কাপের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই প্রত্যাশা হতাশায় পরিণত হয়। পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ১৬তম আসরে ৫টি ম্যাচ খেলে ২টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।গ্রুপ স্টেজে আফগানিস্তানের সাথে ৮৯ রানের জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হলেও শ্রীলংকার সাথে ৫ উইকেটে গ্রুপ ম্যাচ হারে টাইগাররা। সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে এবং শ্রীলংকার কাছে ২১ রানে পরাজিত হয়ে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে পরাজিত করে সমর্থকদের কিছুটা সান্ত্বনা দেয় বাংলাদেশ।
হতাশার বিশ্বকাপ ২০২৩
গত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডেতে চমৎকার খেলতে থাকা এবং বিশ্বকাপ সুপার লীগে পয়েন্ট টেবিলে তিন নাম্বার অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ দলের কাছে বিশ্বকাপে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। দর্শক-সমর্থকরা সেমি-ফাইনাল, ফাইনালের স্বপ্নও দেখা শুরু করেছিলো! প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাসেও ছিল ভাল কিছু করার প্রত্যয়। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে তামিম- সাকিবের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তামিমের জায়গা না পাওয়া, মিডিয়ার অন্তর্ভুক্তি সর্বোপরি বোর্ডের মৌনতা সব কিছু মিলিয়ে একটি থমথমে পরিবেশে বিশ্বকাপ মিশনে যায় বাংলাদেশ। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিলো টাইগাররা। কিন্তু পরবর্তী টানা ৬ ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন থেকে ছিটকে যায়। এমনকি নেদারল্যান্ডের সাথেও লজ্জার পরাজয় মেনে নিতে হয়। এরই মধ্যে আইসিসি থেকে ঘোষণা আসে স্বাগতিক পাকিস্তানসহ বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে থাকা প্রথম আটটি দল নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বাংলাদেশ শ্রীলংকার সাথে জিতে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৮ম অবস্থানে থেকে কোনোরকমে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
২০২৩ সালের ওয়ানডে ক্রিকেট সূচিতে বাংলাদেশ দল মোট ৩২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। ৩টি ম্যাচে কোন রেজাল্ট হয় নি।
২০২৩ সাল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ছিল ভাল একটি বছর। যে ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সবচেয়ে দুর্বল ভাবা হয় সেই ফরম্যাটে ২০২৩ সালে মোট ১৪ টি ম্যাচ খেলে ১০টিতে জয়লাভ ও ৩টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০তে পরাজিত করা। এছাড়া সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ ড্র হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে এশিয়ান গেমসের তিনটি ম্যাচকেও আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যেখানে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বাংলাদেশ।
এবছর বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে মাত্র ৪টি। সবগুলো ম্যাচই হয়েছে বাংলাদেশে; বিদেশের মাটিতে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ৩ ম্যাচে জয় ও ১ ম্যাচে পরাজয় নিয়ে টেস্টের জন্য বছরটি মোটামুটি ভালোই কেটেছে বলা যায়। জুন মাসে আফগনিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারানোটা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে রানের হিসেবে তৃতীয় বৃহত্তম জয়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারিয়ে ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ দল। এর আগে এপ্রিলে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের সাথে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটে জয়ী হয় টাইগাররা।
প্রমীলা ক্রিকেটের উন্নতি
নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে ২০২৩ সালটা তুলনামূলক ভালোই কেটেছে নারী দলের; বলার মত সাফল্যও অনেক। এ বছর মেয়েরা ১৪টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৬টি ম্যাচে। অপরদিকে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩ টি ম্যাচে জয়, ১ ম্যাচে টাই এবং ১টি ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পেয়েছে টাইগ্রেসরা। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে পরাজিত করার পাশাপাশি ভারতের সাথে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয় ও ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে তারা। এছাড়া সাউথ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয়, শ্রীলংকায় প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয় এবং এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক জয় এ বছর মেয়েদের ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এ বছরই ফারজানা হক বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিসহ মোট ২টি সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন। পাকিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করায় নাহিদা আক্তারকে নভেম্বর মাসের আইসিসির সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের প্রমীলা ক্রিকেট; সাফল্য-ব্যার্থতার গল্প!
যুবাদের এশিয়া কাপ জয়
২০২৩ সালে সব ধরনের ক্রিকেটের মধ্যে সবচেয়ে আনন্দের সংবাদটি দিয়েছে অনুর্ধ-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপের দশম আসরে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে যুবারা। সেমি ফাইনালে হারিয়েছে ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারতকে। ২০২০ সালে আকবর আলীরা বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ দিলেও এশিয়া কাপ জেতা হয়নি কখনো। ২০১৯ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে পরাজিত হওয়ার যে অপূর্ণতা ছিল ২০২৩ এ মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বে সেটা এবার পূর্নতা পেলো। এশিয়া কাপে অসাধারণ পারফর্মেন্স করা শিবলী, আরিফুল, মারুফরা এ বছর জানুয়ারীর ১৯ তারিখ থেকে সাউথ আফ্রিকায় শুরু হতে যাওয়া যুব বিশ্বকাপে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ